ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩২, ৯ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

দুই বাসের রেষারেষিতে এক শিশু নিহত


প্রকাশ: ২০ জানুয়ারী, ২০২২ ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন


দুই বাসের রেষারেষিতে এক শিশু নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: অভাবের সংসারে হাল ধরতেই রাকিব ছোট বয়েসেই বাসে বাসে ঝুলে হকারী করে মাস্ক বিক্রি করত। কিন্তু সেটা আর হল না। আজমেরী পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে প্রাণ গেল তার। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাকিব ছিল দ্বিতীয়। আদরের ছোট বোন ছাড়া পরিবারের সবাই কিছু না কিছু করে। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মগবাজার মোড়ে আজমেরী পরিবহনের দুই বাসের চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে পথচারীরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহত শিশুর বাবা নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমার রকিব প্রতিদিন সকাল সাতটার দিকে বাসা থেকে বের হতো। আর রাত দশটার দিকে বাসায় ফিরত। আজকে দুপুরে বাসায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে বের হয়। সন্ধ্যার দিকে খবর পায় রাকিব (আমার ছেলে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। পরে ঢামেকে এসে দেখি রাকিবের মৃতদেহ পরে আছে বলতেই কান্নায় ভেঙে পরেন শিশুটির বাবা। 

তিনি বলেন, আমি নিজেও রাস্তায় হকারী করে পান-সিগারেট বিক্রি করি। রাকিবের মা রেজিয়া বেগম মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করে। রকিব প্রতিদিন সকাল সাতটার দিকে বাসা থেকে বের হতো। আর রাত দশটার দিকে বাসায় ফিরত। ছোট বয়সে আমার ছেলে অনেক কাজ করত। 

জানা গেছে, নিহত রাকিবের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গাছুয়াপাড়া গ্রামে। বর্তমানে মগবাজার পেয়ারাবাগে ভাড়া থাকে। রাকিবের বড় ভাই রিয়াজুল টিসিবির পণ্য ট্রাকে কাজ করে। 

ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী হারুন অর রশিদ জানান, মগবাজার মোড়ে গাজীপুর গামী আজমেরী পরিবহনের ৩টি বাস প্রতিযোগিতা করে চালাচ্ছিল। একটি বাস থেকে নেমে আরেকটি বাসে ওঠার সময় সামনের দুটি বাসের মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয় রাকিব। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করে। 

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই আজমেরী পরিবহন দুটি বাস জব্দ করা হয়েছে। ঢামেক মর্গে শিশুটির লাশ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। 


   আরও সংবাদ