ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩২, ৮ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীর ২৮৭ জনের ২৭৩ জন বাংলাদেশি


প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারী, ২০২২ ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন


ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীর ২৮৭ জনের ২৭৩ জন বাংলাদেশি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক: অবৈধ ভাবে ইউরোপে অভিবাসনের চেষ্টায় ভূমধ্যসাগর থেকে মোট ২৮৭ জন অভিবাসী প্রত্যাশীর খোঁজ পায় ইতালি। এদের মধ্যে ২৭৩ জনই বাংলাদেশি। তীব্র ঠান্ডায় থাকার ফলে হাইপোথার্মিয়া জনিত কারণে এদের মধ্যে সাত বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বাকিরা মিসরীয় নাগরিক। নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পারি দিচ্ছিলেন তারা।

রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। 

এতে জানানো হয়, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারিতে মর্মান্তিক ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠান্ডায় থাকার ফলে হাইপোথার্মিয়া জনিত কারণে সাত বাংলাদেশি নাগরিকের নিহত হয়। এ বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর থেকেই ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। ইতালির কাতানিয়া ও পালেরমোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসালগণের মাধ্যমেও বাংলাদেশ দূতাবাস প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান এবং যথোপযুক্ত করণীয় নির্ধারণের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হকের নেতৃত্বে ও দূতাবাসের একজন ইতালি ভাষী কর্মচারীসহ দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে পরদিনই গত ২৬ জানুয়ারি লাম্পেডুসা দ্বীপে পৌঁছায়। দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠান্ডায় থাকার কারণে হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাত অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয় যারা বাংলাদেশের নাগরিক বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়। 

দূতাবাসের কাউন্সেলর গত ২৭ জানুয়ারি লাম্পেডুসার ডেপুটি মেয়র প্রেস্টিপিনো সালভাতোরে এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুর্ঘটনার বিষয়ে ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও করণীয় কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করেন। ইতালীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দূতাবাসের নিবিড় সমন্বয়ের বিষয়ে মতবিনিময় করেন। 

গত ২৮ জানুয়ারি সকাল ১১টায় কোস্টগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দূতাবাসের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। সিসিলি প্রদেশের এগ্রিজেন্তো এলাকায় অবস্থিত মর্গে সাতটি লাশ ফেরত পাঠানো বা দাফন সম্পাদনের পূর্ব পর্যন্ত রাখা হবে বলে জানা গেছে। মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। 

লাশ পরিদর্শনের জন্য আদালতের অনুমতির বাধ্যবাধকতা থাকায় এখনো সরেজমিনে লাশগুলো দেখা সম্ভব হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধারকৃতদের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং দূতাবাসের প্রতিনিধিদল তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। ইতালীয় সূত্রের প্রাথমিক তথ্যমতে অভিবাসন প্রত্যাশী ২৮৭ জনের মধ্যে ২৭৩ জন ছিলেন বাংলাদেশি যাদের মধ্যে সাতজন মারা গিয়েছেন এবং অন্যরা মিসরীয় নাগরিক। 

সংশ্লিষ্ট সকলকে অসাধু মানবপাচারকারী চক্র থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানানোর সঙ্গে সঙ্গে দূতাবাস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য দূতাবাস ইতালির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।


   আরও সংবাদ