প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের মৃত্যুদিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ যোহর এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদ শেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত, দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫৩ তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়।
১৯৬৯ সালের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বাঙালি সদস্য সার্জেন্ট জহুরুল হক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ঢাকা সেনানিবাসে আটক অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হতে নিহত হয়।
সার্জেন্ট জহুরুল হক ছিলেন একজন স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক সৈনিক। ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক আরোপিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রাখা হয়। পরে ১৭ জানুয়ারি ১৯৬৮ মামলার নামকরণ করা হয় ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য’। এই মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১ নম্বর এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক-কে ১৭ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে এয়ারফোর্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সার্জেন্ট জহুরুল হককে ঢাকা সেনানিবাসে বন্দী রাখা হয়। ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানের উত্তাল আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। কিন্তু এ সময়ই ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ তারিখে সার্জেন্ট জহুরুল হক ঢাকা সেনানিবাসে আটক অবস্থায় পাকিস্তানি সৈনিকের গুলিতে নৃশংসতম হত্যার শিকার হন।
দেশের মুক্তির লক্ষ্যে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্র হলের নামকরণ করা হয় ‘সার্জেন্ট জহুরুল হক হলো’ এবং ১৯৮২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটির নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক’। ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
এই মিলাদ মাহফিলে সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (প্রশাসন) এয়ার ভাইস মার্শাল সাঈদ হোসেন, ঘাঁটি এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুর রহমানসহ ঘাঁটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিমানসেনা ও অন্যান্য পদবির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।