ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩২, ৯ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

পারিবারিক কলহের জেরে গবির সাবেক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা


প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০৯:২১ পূর্বাহ্ন


পারিবারিক কলহের জেরে গবির সাবেক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

গবি প্রতিনিধি: সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আলামিন ইকবাল খান আত্নহত্যা করেছেন। তিনি আইন বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

গতকাল শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪.৩০ মিনিটে  টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানাধীন নিজ বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ ঘুমের ঔষুধ খেয়ে আত্নহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে তার ছোট ভাই মাহমুদ ইকবাল খান।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি দীর্ঘদিন হতাশাও কষ্টের মধ্যে ছিলেন। এই কষ্টের ভার নিতে না পেরেই তিনি এমন করেছেন।

আত্মহত্যার পূর্বে তিনি তার ছোট ভাই মাহমুদ ইকবাল খানের বরাত দিয়ে একটি চিঠি লিখে যান। চিঠির হুবুহু এখানে দেওয়া হলো। "ভাই আমার, জীবন আর চালাই নিতে পারছি না রে ভাই। আমার প্রতিটি মুহূর্ত যন্ত্রণার। মাহমুদ অনেক ভালোবাসি ভাই তোকে। আমাকে মাফ করে দিস। আমার সংসারটা শীলার বাবা, মা আর ওর ভাই নাহিদ শেষ করে দিছে।

আমার কলিজার টুকরা বউ নিয়ে গেছে ওরা। ভাই প্রতিদিনের এই যন্ত্রণা কষ্ট থেকে এটা ছাড়া উপায় ছিল না। ভাই আমার অসহায়ত্ব আর চোখের পানিও ওদের কাছে হাসি তামাশার মতো মনে হয়েছে। ভাই বাবুকে দেখে রাখিস। আর পারলাম না ভাই। একটু একটু করে মরার চেয়ে একবারেই মরে যাওয়া ভালো তাও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবো। আমার আব্বু, মাকে মাফ করে দিতে বইলো ভালো।"

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোন করলে তিনি জানান,"বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত।কিন্তু, এ বিষয়ে এখন অব্দি থানায় কোন মামলা হয়নি।"

নিহতের বন্ধু আ্যডভোকেট পলাশ বলেন, "ইকবাল আমার খুব ক্লোজ বন্ধু ছিল। সব সময় হাসি-খুঁশি থাকতো। এরকম একটা কাজ অন্তত ওর দ্বারা আশা করা যায় না। এছাড়া ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেওয়া কোন ভাবেই কাম্য নয়। তবুও বলবো ওপারে ভালো থাকিস।"

আজ বাদ আসর জানাযা শেষে নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।


   আরও সংবাদ