ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

কম্পিউটার চুরির তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশের দাবীতে বশেমুরবিপ্রবি'তে মানববন্ধন


প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:৩১ অপরাহ্ন


কম্পিউটার চুরির তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশের দাবীতে বশেমুরবিপ্রবি'তে মানববন্ধন

বশেমুরবিপ্রবি থেকে খাদিজা জাহান : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার চুরির প্রকৃত চোর শনাক্ত, তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ, এবং শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ ও হুমকি প্রদানের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার (২০সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম, শেখ তারেক, বাবুল শিকদার বাবু এবং ফাহাদ সার্জিল বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষকদের হুমকি প্রদানের বিচার দাবি এবং প্রকৃত কম্পিউটার চোরকে শনাক্ত করার দাবি জানান তারা।

 চুরির ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশের আবেদন জানিয়ে তারা বলেন, “চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি গত ৬ সেপ্টেম্বর তাদের প্রতিবেদন রেজিস্ট্রারের নিকট জমা দিলেও এখনও সেটি উপাচার্যের নিকট হস্তান্তর করা হয় নি এবং কোনো ব্যবস্থাও করা হয়নি। আমরা এই বিলম্বের কারণ জানতে চাই এবং দ্রুত দোষীদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাই।”

 মানববন্ধন শেষে বিচার দাবি করে তারা উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন। স্মারকলিপিতে চুরির ঘটনায় আটককৃত শিক্ষার্থী পনির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হিরার যোগসূত্র বিষয়টি উল্লেখসহ নজরুল ইসলাম হিরা কর্তৃক শিক্ষকসহ তদন্ত কমিটির সদস্যদের হুমকি প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। 
 
এছাড়াও স্মারকলিপিতে চুরির ঘটনায় করা মামলাটি র‍্যাবের নিকট হস্তান্তরের  ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. এ. কিউ. এম মাহাবুব বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসেছিলো এবং আমি তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। কিন্তু এ বিষয়ে মামলা চলমান তাই এখানে আমার তেমন কিছুই করার সুযোগ নেই। আমি সর্বোচ্চ বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ডের মিটিংয়ে তুলতে পারি।”

প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়। এ পর্যন্ত ৩৪ কম্পিউটার উদ্ধারসহ সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল কিন্তু কমিটির সদস্য মোঃ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চুরির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থী পনির সাথে সুসম্পর্কের অভিযোগ ওঠায় তাকে কমিটি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। 

আর এই সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে নজরুল ইসলাম তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন করেন, যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া তিনজন শিক্ষকসহ তদন্ত কমিটির পাঁচ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরার বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রার বরাবর হুমকির অভিযোগ জানিয়েছেন।


   আরও সংবাদ