ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

বশেমুরবিপ্রবি'র অবকাঠামো উন্নয়নের পরে শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা : ভিসি


প্রকাশ: ৫ অক্টোবর, ২০২০ ১১:১০ পূর্বাহ্ন


বশেমুরবিপ্রবি'র অবকাঠামো উন্নয়নের পরে শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা : ভিসি

বশেমুরবিপ্রবি থেকে খাদিজা জাহান : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরেই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান নবনিযুক্ত উপাচার্য ড.এ কিউ এম মাহাবুব।

আজ সোমবার (০৫ অক্টোবর) বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির এক সংলাপে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের এসব সমস্যা একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন যাবত এভাবে চলতে চলতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া মফস্বল এলাকার নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রধান সমস্যা হলো পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই এবং সিনিয়র শিক্ষকের অভাব। একজন সিনিয়র শিক্ষকের উপর ভিত্তি করেই জুনিয়র শিক্ষকরা নিজেদের উন্নত করবেন এবং শিক্ষার্থীরা আরো মানসম্মত জ্ঞান পাবে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঝে পার্থক্যই হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী জ্ঞান তৈরি করে। আর জ্ঞান তৈরির মাধ্যম হলো রিসার্চ বা গবেষণা। সিনিয়র শিক্ষক না থাকায় আমাদের গবেষণার অবস্থা অত্যন্ত দূর্বল । যেমন ঢাবি,জাবি,রাবি এগুলোতে শিক্ষক সংকট নেই।ঢাবিতে দুই হাজার শিক্ষকের মাঝে অর্ধেক-ই প্রফেসর।

তিনি আরও বলেন, আমি কয়েকদিন আগে ড. মিসবাউল আহমেদের সাথে কথা বলেছি। আমি জিজ্ঞেস করলাম, একজন প্রফেসর যদি গোপালগঞ্জে চাই, তাহলে ১৪ লক্ষ টাকা লাগবে।আমরা কিছু চুক্তিভিত্তিক প্রফেসর পাই, তাও পরিমানে অনেক অনেক কম।

এর সমাধান কি হতে পারে? আমাদের ভার্সিটির তে মাত্র একজন ফুল টাইম প্রফেসর এবং বাকি ৬/৭ জন চুক্তিভিত্তিক প্রফেসর। আমরা ঢাবির মতো না চাইলেও আমাদের ভার্সিটিতে কমপক্ষে ৩ ভাগের ১ ভাগ প্রফেসর তো থাকবে।

জুনিয়র শিক্ষকরা যদি এসোসিয়েট প্রফেসরস এবং প্রফেসর গাইডেন্স ব্যতিরেকে বড় হতে থাকেন, একদিন ঠিকই এসোসিয়েট প্রফেসর বা প্রফেসর হবেন কিন্তু তাদের জ্ঞানের পরিধি বিকশিত হবে না।


কারন এই তরুণ শিক্ষকগোষ্ঠীটা গাইডেন্স ছাড়াই বড় হচ্ছে।তাদের অধীনেও যেসব শিক্ষার্থীরা শিখবে, সেই শিক্ষাটা অপূর্ণ থেকে যাবে। কোয়ালিটির ব্যাঘাত ঘটবে।

এক্ষেত্রে সমাধানের পথ উল্লেখ করে তিনি বলেন,শিক্ষকরা ক্লাস নেন একটা সেমিস্টারের হয়তো ৩০/৩৫/৪০ ঘন্টা হবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাহাঙ্গীরনগর, খুলনা হোক আমরা যদি সেখান থেকে  প্রফেসর নিয়ে আসি, তিনি যদি ২/৩ দিন থাকেন এবং ৫/৭ করে ক্লাস নেন তাহলে দেখবেন পড়াশোনার কোয়ালিটি কোথায় চলে যাবে। এরকম ২ সপ্তাহ পর পর ২/৩ দিন থাকবেন এবং ক্লাস নিবেন। ক্লাস নেয়ার সময় আমি জুনিয়র শিক্ষকদের সুযোগ করে দিলাম। তারা স্লাইড, নোট তৈরি করলেন। যখন জুনিয়র শিক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন তারা আরোও দক্ষ হয়ে উঠবেন। পরবর্তীতে কোর্সটা তিনি চালাতে পারবেন।


   আরও সংবাদ