ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

হাবিপ্রবি প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে : উপাচার্য


প্রকাশ: ৬ অক্টোবর, ২০২০ ২০:৩৭ অপরাহ্ন


হাবিপ্রবি প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে : উপাচার্য

হাবিপ্রবি থেকে আবু সাহেব : দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে চরম অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে দায়িত্বরত সম্মানীত শিক্ষকবৃন্দ আগামীকাল (৭ অক্টোবর) থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ বুধবার (৬ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে," করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে হাবিপ্রবি উপাচার্য মহোদয় প্রশাসনিক ভবনে অফিস না করায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে দীর্ঘ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা করা হলে তিনি জানান ," যে সকল কর্মকর্তাগণ কর্মবিরতি ঘোষণা দিছে উনারা অফিস করবে না, অন্য  অফিসারগণ তো আছে উনারা অফিস করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস তো বন্ধ না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে, ইনশাআল্লাহ"।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারের নেতৃত্বে প্রশাসনিক ব্যক্তি বর্গ কিভাবে সমস্যা সমূহ উত্তোরণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য উপাচার্য মহোদয়ের বাসভবনস্থ অফিসে দেখা করতে গেলে উপাচার্য মহোদয় দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার মহোদয় মোবাইল ফোনে সাক্ষাতের অনুরোধ জানালেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। 

মূল ফটকে প্রশাসনিক দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেন- মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলরের উদ্ভূত আচরণের জন্য প্রশাসনিক দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে বিরত থাকবে।"

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার গণমাধ্যমকে বলেন," দীর্ঘদিন থেকে উপাচার্য মহোদয় প্রশাসনিক কার্যক্রম সঠিকভাবে দেখভাল করছেন না। এতে নানা কাজে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই আজ আমরা সকলে তাঁর সাথে দেখা করতে উপাচার্যের বাসভবনে যাই। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রকল্পে সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু তিনি আমাদের সাথে সাক্ষাৎ না করায় আমরা আগামীকাল থেকে কর্মবিরতির করার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।  

এবিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "আমরা ভিসি স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম, উনি দেখা করেন নি। বিজ্ঞপ্তিতে যেটা দেওয়া আছে আপাতত এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। পরে কোন সিদ্ধান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।"

উল্লেখ্য, উপরোক্ত বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষ্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, পোস্ট গ্রাজুয়েট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. ফাহিমা খানম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ ফজলুল হক ( বীর মুক্তিযোদ্ধা), আইআরটির পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ তারিকুল ইসলাম, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ডা. শ্রীপতি সিকদার, অধ্যাপক রোজিনা ইয়াসমিন (লাকী), পরিবহন শাখা পরিচালক অধ্যাপক ড. মফিজুল ইসলাম, সহকারি প্রক্টর শিহাবুল আউয়াল, মহিন উদ্দিন, ড. রাশেদুল ইসলাম, আব্দুল মোমিন সেখ, ডঃ হাসানুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডঃ ইমরান পারভেজ, প্রক্টর অধ্যাপক ডঃ খালেদ হোসেন, প্লানিং, ডেভলপমেন্ট এ্যান্ড ওয়ার্কস বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডঃ মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী প্রক্টর রবিউল ইসলাম সহ আরো অনেকে।


   আরও সংবাদ