প্রকাশ: ২০ অক্টোবর, ২০২০ ১৯:০৫ অপরাহ্ন
জবি প্রতিনিধি : অবশেষে শিক্ষার্থীদের দাবী উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল 'বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল' উদ্বোধন করলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টায় করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ হলের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে হল উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ে স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে প্রথম ছাত্রী হলটির নামকরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নামে হলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারা উদ্বোধন করা হলে হলটির সাথে প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতি আজীবন জড়িয়ে থাকবে। এক্ষেত্রে হলের উদ্বোধন ভিডিও কনফারেন্সে হলেও সমস্যা নেই বলে স্মারকলিপিতে বলা হয়।
ছাত্রী হল উদ্বোধনের এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এসএম আনোয়ারা বেগম, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দফতরের পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে সকাল ৯:১০ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনা এবং ৯:১৫ মিনিটে শহীদ মিনার চত্বর থেকে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করা হয়। পরে সাড়ে নয়টায় দিকে হল উদ্বোধনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা এবং সংগীত বিভাগের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
এ ছাড়া জনসংযোগ দপ্তরের সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশনা প্রদর্শনী, দুইটি নতুন এসি মাইক্রোবাস উদ্বোধন, এবং গাড়ি ড্রাইভার ও বাস হেলপারদের জন্য বিশ্রামাগার উদ্বোধনসহ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন ভার্চ্যুয়ালভাবে নানা আয়োজনে দিনব্যাপী দিবসটি উদযাপন করে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের মাধ্যমে জবির আবাসন সংকট নিরসন হবে বলে মন্তব্য করেন জবি উপাচার্য।
আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা ২০০৫ সালে হলেও মাত্র ৭.৫ একর জমির উপর মূলত ২০১১ সাল থেকে এটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
শতভাগ অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অন্যান্য সকল সমস্যা অতিক্রম করেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সমসাময়িক অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এগিয়ে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত যে সংকট রয়েছে নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের মাধ্যমে সেটিও নিরসন হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বেদখলকৃত হলের এ জমি উদ্ধারের পর ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর হলটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর ৯ম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এটির নির্মাণকাজের শুভ সূচনা করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের তৎকালীন চেয়্যারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী।