প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৫৯ অপরাহ্ন
 
            
কূটনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশ দূতাবাসের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে জর্ডানে ফিরতে পারবেন ছুটিতে এসে করোনার কারণে আটকে পড়া বাংলাদেশী প্রবাসিরা। যাদের আকামা ও তাছরিয়ার মেয়াদ ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে তারাও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া এবং বিধিসমূহ অনুসরন করে জর্ডানে ফিরতে পারবেন।
আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে জর্ডানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারি ও এইচওসি মোহাম্মদ বশির এক বার্তায় এসব তথ্য জানান। জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান গত (০১ নভেম্বর) জর্ডানের নব নিযুক্ত শ্রম এবং বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রি ডাঃ মাইন আল-কাতামিনের সাথে তার কার্যালয়ে বিশেষ বৈঠকে মিলিত হন।
এসময় বিশেষত রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান করোনা মহামারীর কারনে ছুটিতে দেশে গিয়ে ফিরতে না পারা প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের জর্ডানে ফেরার সম্ভাবনা নিয়েও ডাঃ মাইন আল-কাতামিনের সাথে কথা বলেন। তিনি মন্ত্রীকে ছুটিতে বাংলাদেশে গিয়ে ফিরতে না পারা যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীর ভিসা বা আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের জর্ডানে ফেরত আনার জন্য অনুরোধ জানান।
চলতি বছর ১৭ই মার্চের পূর্বে বাংলাদেশে ছুটিতে গিয়ে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশী আটকে পড়েছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে তাদের ফিরে আসার জন্য জর্ডান সরকার নতুন ভিসা ও অনুমতি প্রদান করেছে আজ।
আকামা ও তাছরিয়ার মেয়াদ আছে তাদের নিন্মলিখিত ডকুমেন্টস সমুহের প্রয়োজন হবে-   
১.মেয়াদ সম্বলিত আকামা ও তাছরিয়া। 
২. www.visitjordan.gov.jo হতে প্রাপ্ত কিউআর কোড সম্বলিত অনুমতিপত্র। 
৩. ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স। 
৪.করোনা টেষ্ট (নেগেটিভ পিসিআর রিপোর্ট)।
আকামা ও তাছরিয়ার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের নিন্মলিখিত ডকুমেন্টস সমুহের প্রয়োজন হবে-   ১. প্রত্যেকের নিয়োগকর্তা (কফিল) কর্তৃক জর্ডানের মিনিষ্ট্রি অফ ইন্টিরিয়র (ওজারাতুত দাখিলিয়া) হতে ভিসা ও অনুমতি সংগ্রহ করতে হবে। 
২. জর্ডানের ইন্টেরিয়র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নতুন ভাবে ইস্যুকৃত বর্ধিত মেয়াদের ভিসা জর্ডানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক সত্যায়ন করতে হবে। 
৩.বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র (দূতাবাস হতে ভিসা সত্যায়ন এবং প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহের জন্য ভিসা/অনুমতির মূল কপি ও তার ইংরেজী অনুবাদ, পাসপোর্টের কপি, আকামা ও তাছরিয়ার কপি নির্ধারিত সরকারি ফি সহ কফিল কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দিতে হবে।) 
৪. মেয়াদ উত্তীর্ণ আকামা ও তাছরিয়া। 
৫. www.visitjordan.gov.jo হতে প্রাপ্ত কিউআর কোড সম্বলিত অনুমতিপত্র। 
৬. ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স। 
৭. করোনা টেষ্ট (নেগেটিভ পিসিআর রিপোর্ট)
মন্ত্রী ডাঃ মাইন আল-কাতামিন বলেন, জর্ডানের সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় বিভিন্ন খাতে ব্যবসায়ীক কাজের তদারকির মাধমে শ্রম আইন রক্ষা নিশ্চিত করবে। যা কিনা একই সাথে জর্ডানি এবং প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয় প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে যে কোনও অভিযোগ গ্রহন এবং তার বিধান নিশ্চিত করতে প্রস্তুত। এছাড়া তাঁর মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে বিভিন্ন ভাষায় সচেতনতা পুস্তিকা এবং ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রস্তুত করছে যাতে বিভিন্ন ভাষাভাষীর সর্বাধিক সংখ্যক প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে এ সকল বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো যায়।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বাংলা ভাষায় সচেতনতা পুস্তিকা প্রনয়ণে জর্ডানের শ্রম মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাস একসাথে কাজ করবে। রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান জর্ডানে বাংলাদেশীসহ সকল প্রবাসী শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য ও অধিকার রক্ষায় নবনিযুক্ত শ্রম মন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, জর্ডান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী জর্ডানে প্রবেশের জন্য উল্লিখিত কাগজপত্র বাংলাদেশ ও জর্ডানের বিমানবন্দরে প্রদর্শনের জন্য সাথে বহন করতে হবে।