ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল: স্বপন ভট্টাচার্য্য


প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:২২ অপরাহ্ন


আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল: স্বপন ভট্টাচার্য্য

স্টাফ রিপোর্টার: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, এমপি বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দেশ শুধু স্বাধীনতা পাবে তাই নয়। খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল ক্ষেত্রে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা পাবে। এটাই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। তিনি আজীবন নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করেছেন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।

তিনি আজ বিকালে (২৮ ডিসেম্বর) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মহান বিজয় দিবস উদ্যার্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন” শীর্ষক আলোচনায় ভার্চুয়ালী উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী  জাতির পিতার নেতৃত্বে  দীর্ঘ সংগ্রাম  ও  আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালী তার আতœপরিচয় পেয়েছে। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করতে পারছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সকল ক্ষেত্রে দেশের যে উন্নয়ন তার ভিত্তি রচনা হয়েছিল স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। একটি জাতি যদি স্বাধীন হয় তাহলে সেই জাতির মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি প্রকাশ করার সুযোগ পায়, পরাধীন রাষ্ট্রে তা কোনদিন সম্ভব হয় না। আজ বাংলাদেশ স্বাধীন বলেই বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জনগনের জন্য বিভিন্ন সেবা সহজীকরন করা সম্ভব হচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশে মাত্র তিন বছরের অধিক সময় দেশ পরিচালনায় সুযোগ পেয়েছিলেন। তার মধ্যে তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। একটি দেশ সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য বাঙালীর হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ভর সোনার বাংলা গঠনের জন্য সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর লালিত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ রেজাউল আহসান বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতার সমার্থক। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন। একটি প্রতিষ্ঠান। একটি বিপ্লব। জাতি নির্মাণের কারিগর। একটি ইতিহাস, যার ব্যাপ্তি হাজার বছর বিস্তৃত। তাই তো তিনি বাঙালি ‘জাতির পিতা’। তাই তো সমকাল তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’। তার জীবনের সংগ্রাম ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। তার স্বপ্ন ছিল একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ে তোলা।

অতিরিক্ত সচিব রাশিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে  আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মহাপরিচালক সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু, বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক  আমিনুল ইসলাম, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আকবর হোসেন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) মহাপরিচালক শাহজাহান সহ অন্যান্য দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ।

 


   আরও সংবাদ