প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৩২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেছেন ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হারানোর বিনিময়ে যে পতাকা আমরা অর্জন করেছি তার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আজ ময়মনসিংহ শহরের উপকণ্ঠে ব্রহ্মপুত্র নদের ব্রিজ সংলগ্ন স্বাধীনতা স্কয়ারে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ময়মনসিংহ জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত বিজয় পতাকা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন প্রায় দুশো বছরের ইংরেজ শাসনের পর পাকিস্তানি শাসন শোষণের বিরুদ্ধে সফল ও সার্থক সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। স্বাধীনতা এ জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তিতুমীর বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করে জাতিকে স্বাধীন করার চেষ্টা করেছেন। মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সহ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে অনেকে শাহাদাত বরণ করেছেন। তাদের সেই অব্যাহত আন্দোলন-সংগ্রামের সফল ও সার্থক পরিণতি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ।
এই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং লাল সবুজের এই পতাকা।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে বিজয়ের প্রায় অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেলেও এদেশে এখনো স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা এখনো মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং বাঙালির বিজয়কে অর্থহীন প্রমাণ করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত। তারা ধর্ম ব্যবসার আড়ালে স্বাধীনতাবিরোধী ভাবধারার বাস্তবায়ন ঘটাতে চায়।তারা সুযোগ পেলেই হীনস্বার্থে বিভিন্ন ইস্যুকে ব্যবহার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।
কিন্তু এদেশের মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ তাদের এই উদ্দেশ্য কখনোই সফল হতে দেবে না। ১৯৭১ সালে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেমন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তেমনি জাতীয় পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে দেশের প্রত্যেকটি শ্রেণি-পেশার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে অর্থাৎ একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।