ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে অঙ্গীকার করলেন : রাষ্ট্রদূত ফাতিমা


প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০২১ ১১:১২ পূর্বাহ্ন


একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে অঙ্গীকার করলেন : রাষ্ট্রদূত ফাতিমা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, “আমাদের গণহত্যা দিবসটিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যথাযথভাবে পরিচিত করার লক্ষ্যে আমরা প্রাথামিক কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা এ জন্য গণহত্যার শিকার দেশগুলোর সাথে মতবিনিময় অব্যাহত রেখেছি যা আমাদের এ লক্ষ্যে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে। 

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত ইতিহাসের বর্বরোচিত, নিষ্ঠুর ও নিকৃষ্টতম গণহত্যার স্মরণে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়। কোভিড-১৯ অতিমারিজনিত কারণে স্থানীয় স্বাস্থ্য-বিধি অনুযায়ী সীমিত পরিসরে মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যে ৬টায় গণহত্যা দিবসের এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। 

সমমনা বন্ধু রাষ্ট্র, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী দেশ ও গণহত্যা কবলিত দেশসমূহকে নিয়ে জাতিসংঘে ও অন্যান্য বৈশ্বিক প্লাটফর্মে আমাদের গণহত্যার পক্ষে একযোগে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর”।

শুরুতেই গণহত্যার শিকার শহীদদের বিদেহী আত্মার স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। অতপর দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন ও মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 

বিগত সময়ে স্থায়ী মিশনে গণহত্যার শিকার দেশগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধি, গবেষক, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ-এর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ অতিমারির অবস্থা উন্নতি হলে এ বিষয়ক কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

প্রদত্ত বক্তব্যে গণহত্যার আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, “স্বাগতিক দেশের সরকারের নিকট প্রবাসী বাংলাদেশীগণ আমাদের গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরতে পারে এবং এ বিষয়ে জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে পারে”।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশে সংঘটিত মর্মাান্তিক গণহত্যার পঞ্চাশ বছর পূর্তির প্রাক্কালে এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সকলকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

মিশনে আয়োজিত উন্মুক্ত আলোচনায় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।


   আরও সংবাদ