ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার স্যাটেলাইট ইমেজ


প্রকাশ: ৮ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার স্যাটেলাইট ইমেজ

   

জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরানের গণমাধ্যমের দাবি, ‘অন্তত ৮০ জঙ্গি মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।’ প্রমাণ হিসেবে ইরাকের আল-আসাদ বিমান ঘাঁটির কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করেছে প্রেস টিভি।

যদিও হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে দেয়া বিবৃতিতে ইরানের দাবিকে অস্বীকার করেন। ট্রাম্পের দাবি, ‘আমাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদের সব জওয়ান সুরক্ষিত আছে। খুব কম ক্ষতি হয়েছে আমাদের সেনা ঘাঁটিতে।’

ইউএস ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর) বাণিজ্যিক সংস্থা প্ল্যানেটের তোলা কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে দেখা যায়, ইরানের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমান ঘাঁটির হ্যাঙ্গার এবং কিছু ভবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ছবিতে দেখা যায়, হামলায় ঘাঁটির অন্তত পাঁচটি কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের স্পষ্টতা প্রতীয়মান হচ্ছে। মিডিলবারি ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক ডেভিড শামার্লার ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে বলছেন, কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

শামার্লার বলেন, প্রাণহানি এড়াতে ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য হিসেবে ঘাঁটিটি বেছে নেয়া হয়েছিল কি-না, সেটা স্পষ্ট নয়। আমরা যে ভবনগুলো এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেছি সেগুলো মূলত বিমান সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হতো বলে মনে হচ্ছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইরাকের দুই মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ছোড়ে ইরান। ইরাকের পশ্চিম আনবার প্রদেশ এবং কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক রাজধানী ইরবিলে ঘাঁটি দুটির অবস্থান। এর মধ্যে আনবার প্রদেশের আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ ঘাঁটি থেকেই পাখা মেলেছিল খুনি ড্রোন।

যদিও বুধবার সকালে দেয়া বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সমস্ত সেনা নিরাপদ এবং আমাদের সামরিক ঘাঁটিগুলো ন্যূনতম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের মহান বাহিনী যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত। গত রাতের আক্রমণে কোনো আমেরিকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কোনো হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।’

জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে নিষ্ঠুর জঙ্গি হিসেবেও ফের আখ্যা দেন ট্রাম্প। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, ইরানকে কখনোই পরমাণু শক্তিধর হতে দেবেন না তিনি। তার কথায়, ‘যতদিন আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকব, ইরান ততদিন পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হতে পারবে না।’

ইরানের নেতৃত্ব ও সাধারণ মানুষকে সরাসরি বার্তা দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত আমেরিকা। তার ভাষায়, ‘ইরানের সাধারণ মানুষ এবং নেতাদের বলছি, আমরা চাই আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত, যার দাবিদার আপনারা।’

এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিরক্ষায় ন্যাটোকে আরও কার্যকর হওয়ার পাশাপাশি ইরানের ওপর আরও কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।


   আরও সংবাদ