প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী, ২০২২ ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
 
            
নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্যামলীতে অবস্থিত আমার বাংলাদেশ হসপিটালে বিল পরিশোধ করতে না পারায় চিকিৎসাধীন যমজ দুই শিশুকে বের করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় মারা যায় ছয় মাসে শিশু আহমেদ। আর আব্দুল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ কোম্পানী কমান্ডার মেজর জুলকার নাইন প্রিন্স এ তথ্য জানান। এ সময় শিশু আব্দুল্লাহ জন্য শিশুটির মা আয়েশা বেগমের হাতে তুলে দেন উপহার সামগ্রিক।
মেজর জুলকার নাইন জানান, আমার বাংলাদেশ হাসপাতালের বিল দিতে না পারায় কর্তৃপক্ষ জমজ দুই শিশুকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসার পথে মারা যায় আহমেদ। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় আব্দুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আমরা বাংলাদেশ হাসপাতাল মালিককে গ্রেপ্তার করি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ওই হাসপাতালের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে যেই অ্যাম্বুলেন্স চালক শিশু দুটির মা আয়েশা বেগমকে প্রভাবিত করে আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে নিয়ে গেছে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে। আজ শিশুটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা শিশুটিকে ৩০ দিন পর আবার ফলোআপে আসতে বলেছে। আমাদের সব রকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে শিশুটির জন্য।
চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিশু আব্দুল্লাহ'র মা আয়েশা বেগম জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ আমার আব্দুল্লাহ এখন সুস্থ আছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু আরেক শিশু সন্তান্তকে হারিয়েছি। তাকেও আজকে সুস্থ করে বাড়ি নিতে পারতাম, যদি আমার শিশুটিকে বাংলাদেশ হাসপাতালে না নিয়ে যেতাম।
তিনি জানান, বিল পরিশোধ করতে না পারার কারণে সন্তানকে বাংলাদেশ হাসপাতাল থেকে যারা বের করে দিয়েছে, আমার সন্তানকে হত্যা করেছে! তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেখতে চাই।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল হক জানান, শিশুটি হাসপাতালে ভর্তির পরপরই আমাদের চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চিকিৎসা দিয়েছে। সব সময় আমি খবর নিয়েছি। ওষুধপত্র থেকে শুরু করে সব রকম সহযোগীতা দেওয়া হয়েছে। খুবই ভালো লাগছে শিশুটি অসুস্থ হয়ে মার সাথে বাড়ি যাচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সব রোগীকেই চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দেন।