প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারী, ২০২২ ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
 
            
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাম জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে ক্ষমতা প্রলম্বিত করার নীলনকশার অংশ হিসাবে সংগোপনে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন প্রনয়ণ ও পাশ করানো হয়েছে। এই আইন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে অনুগ্রহপ্রাপ্ত ও অনুগত ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি ও মেরুদণ্ডহীন ও অকার্যকর নির্বাচন কমিশন তৈরী করা হয়েছে।
আজ সকালে রাজধানীর পুরান পল্টন মোড়ে দেশবাসীকে ধোঁকা দেবার নির্বাচন কমিশন আইন বাতিলের দাবিতে বাম জোটের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। পরে ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল পুরানা পল্টন, জিরো পয়েন্ট ও তোপখানা রোড প্রদক্ষিণ করে মোড়ে এসে শেষ হয়।
যেনতেন ভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার খেলা দেশের মানুষ আর বরদাস্ত করবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রকিব ও হুদা কমিশনের মত এই ধরনের আর একটি নির্বাচন কমিশন যে কেবল সরকারি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করবে তা কারও না বোঝার কথা নয়। মানুষের অধিকার হরণ করে রাষ্ট্র প্রশাসনকে ব্যবহার করে যেনতেন ভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার এই খেলা মানুষ আর হতে দেবে না। মানুষকে ধোঁকা দেবার এই কুটকৌশলে এবার আর সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন আইন বাতিল করে রাজনৈতিক দলসমূহ ও অংশিজনদের মতৈক্যের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন কমিশন আইন, নতুন নির্বাচন কমিশন, সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারসহ রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সরকারকে রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন আইনের নামে জনগণের চোখে ধুলো দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের ব্যক্তিদেরকে নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠনের ঘোষণা দিতে হবে। জনগণ এবার আর সরকারের অপ তৎপরতা বরদাসত করবে না।
তারা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে দেশে অবাধ নির্বাচনের কোন সুযোগ নেই। সে কারণে সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন করতে হবে।
এ সময় তারা জনদাবী আদায়ে সব প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তির রাজপথে বৃহত্তর আনদোলন গড়ে তোলার ডাক দেন। দাবি আদায়ে নেতৃবৃন্দ বাম জোটের ধারাবাহিক আন্দোলনেরও ঘোষণা দেন তারা।
পুরানা পল্টন মোড়ে জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেমিডিয়ায় সদস্য আবদুল্লাহ কাফি রতন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাসদ- মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় নেতা আ ক ম জহিরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা বাচ্চু ভূঁইয়া, বাসদ এর নেতা জুলফিকার আলি, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা আবদুল আলী ও ওয়ার্কার্স পার্টি-মার্কসবাদীর নেতা বিধান দাস।