ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩২, ৯ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সরকার থাকলে সার্চ কমিটি আ.লীগের: খন্দকার মোশাররফ


প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন


সরকার থাকলে সার্চ কমিটি আ.লীগের: খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে সার্চ কমিটি তাদেরই হবে। এই সার্চ কমিটিকে শেখ হাসিনা বা সরকারের পক্ষ থেকে যাদের নাম দেবে, তারাই নির্বাচন কমিশনার হবে। এটাতে অংশগ্রহণ করা, এটাতে মাথা ঘামানো- আমরা মনে করি এটা অর্থহীন। তাই আমরা এ ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দিই না।

মোশাররফ বলেন, এই (সার্চ কমিটি) সরকারের নাটক। এই নাটক হচ্ছে- এই সরকার আবার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আরেকটি সেই পুরনো, সেই ডাকাতি-চুরির নির্বাচন করার জন্য। এই নাটক সাজিয়েছে।

আজ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল মানিক মিয়া হলে নির্দলীয় আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এপিপি)।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে প্রেসিডেন্ট সাহেব সংলাপের নামে একটি নাটক করলেন। আমরা আগেও বলেছি এটা একটা নাটক ছিল। কেননা সরকার দেশের জনগণকে আবার ধোঁকা দেওয়ার জন্য একটি আইন করেছে। এখন নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে কিন্তু, প্রেসিডেন্ট সেটা করেন নাই, এটা করা হয়েছে আইনের মাধ্যমে। যাদেরকে দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে সকলেই আওয়ামী লীগের সমর্থক। তারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। তাদেরকে দিয়ে আজ সার্চ কমিটি। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এই সরকার থাকলে সার্চ কমিটি তাদের হবে। এই সার্চ কমিটিকে শেখ হাসিনা বা সরকার যাদের নাম দেবে তারাই নির্বাচন কমিশন হবে। এটাতে অংশগ্রহণ করা এটা নিয়ে মাথা ঘামানো আমরা মনে করি অর্থহীন। এটা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার সরকারের আরেকটি নাটক। এটা সরকারের চুরির, ডাকাতির নির্বাচন করার জন্য। 

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বলতে চাই, এদেশের মানুষ দেখেছে, এনাফ ইজ এনাফ। অনেক হয়েছে আর নয়। আজকে শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্বও কিন্তু বলে দিয়েছে, আমাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে, সিগন্যাল দিয়ে দিয়েছে- আর এটা চলবে না।

এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এটা বিএনপি ও ২০ দলের নেতারা সকলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেই ঘোষণা করেছি যে, শেখ হাসিনার অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। শেখ হাসিনার অধীনে বিগত দুটি নির্বাচন প্রমাণিত- এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যত শিগগির সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠান করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, আর যদি না করে, যে কোনো স্বৈরাচারী সরকার যে পথে বিদায় হয়েছে- তাহলে সেই রাজপথকে আমরা বেছে নিতে বাধ্য হব। আপনারা এখানে অনেকে বলেছেন, ডাক দেন। সেই ডাক দেওয়ার সময় সামনে আছে। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছি। যার যার অবস্থান থেকে প্রয়োজনে যুগপৎভাবে একই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করবো যে কোনো সময়ে, সেই স্রোতে একত্রিত হয়ে একসঙ্গে মিলিত হয়ে এই সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নিতে বাধ্য করব। সেই আন্দোলনের জন্য সকলে প্রস্তুত হোন।

বিদেশে যে দূতাবাসগুলো রয়েছে, তাদের দেশের ও জনগণের পক্ষে কাজ করার কথা। কিন্তু তা না করে তারা সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়, এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জনগণের টাকায় যারা বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন তারাও জনগণের কথা না বলে আওয়ামী লীগের কথা বলছেন। 

জাতীয় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ডা. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই সরকারের পরে আরও স্যাংশন আসা উচিত। তবে কোনো দেশ বা সরকার আমাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে না আমাদেরকে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে হবে।

টিপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যেজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকিব, এনডিপির আবু তাহের, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, এনপিপির নবী চৌধুরী ও ফরিদ উদ্দিনসহ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা।


   আরও সংবাদ