ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩২, ৯ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শহীদ মিনারে থাকছে ৬ স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার


প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন


শহীদ মিনারে থাকছে ৬ স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কমিশনার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আগমন বা তাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে ডিএমপির নির্দেশনা মানতে সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান কমিশনার।

শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে বলেন, ইউনিফর্ম পুলিশ, পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ, বোম ডিজপোজাল ইউনিট, ডিবি, র‍্যাব ও সোয়াটের টিম থাকবে। ছয় স্তরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা করা হয়েছে।

প্রত্যেক রাস্তায় আলাদা চেকপোস্ট থাকবে, পুরা এলাকা সিসিটিভি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শহীদ মিনারের আশে পাশে মেস ও আবাসিক হোটেল রাত থেকে তল্লাসি শুরু হবে। কোন দুষ্ক্রিতিকারী যেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবার একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কোনো হুমকি নেই। তারপরও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনার এলাকায় ছয় স্তরে ডিউটি করবে পুলিশ।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব মেনে সবাইকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে হবে। এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশেপাশে তল্লাশি করা হবে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শহীদ মিনার এলাকায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। ব্যারিকেডের ভিতররের অংশ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ব্যারিকেডের ভিতরে প্রবেশের সময় সবাইকে তল্লাশি করা হবে। আর বিদেশী কূটনৈতিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

তল্লাশি ছাড়া কাউকেই ব্যারিকেডের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া নিয়মিত টিমের পাশাপাশি সোয়াত, সাদা পোশাকে ডিবি, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বোম ডিপোজিট টিম, এসবির স্পেশাল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও মোবাইল টিম থাকবে। যাতে করে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়।


   আরও সংবাদ