প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
 
            
নিজস্ব প্রতিবেদক: শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র করা গেলে কর্মজীবী মায়েরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিশ্চিন্তে পালন করতে পারবেন। এতে শিক্ষিত ও দক্ষ নারীরা কর্মস্থলে প্রবেশ করতে উৎসাহিত হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
রোববার মতিঝিলের বিসিআইসি ভবনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালে কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ ৫০: ৫০ উন্নীত করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া সরকার নারীবান্ধব উন্নয়ন ও নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে গত এক যুগে সরকারি ও বেসরকারি আত্মকর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কর্মজীবী নারীদের সন্তানদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
 
 
তিনি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বর্তমানে সারা দেশে ১১৯টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করছেন। এর মধ্যে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্মিতব্য মহিলা কমপ্লেক্স ভবন ও সব বৃহৎ ও সুউচ্চ সরকারি ভবনে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় মতিঝিলের বিসিআইসি ভবনে এ ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। তিন হাজার নয়শত বর্গফুট আয়তনের এ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে ৬০ জন শিশু সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত থাকবে। শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, দুইবার নাশতা ও দুপুরের খাবার দেওয়া হবে।
.jpeg)
ডে-কেয়ার অফিসার শমি হামিদ বিএন নিউজকে বলেন, এখানে থাকা প্রতিটি শিশুর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা খেলাধুলা, শরীরচর্চা, বিনোদন ব্যবস্থাসহ পড়া-লেখার ব্যবস্থা। এ ছাড়া এই সব শিশুদের দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে একজন শিক্ষক, একজন স্বাস্থ্য শিক্ষক, চারজন আয়া, দুজন বাবুর্চি, একজন পরিচ্ছন্ন কর্ম ও দুজন নিরাপত্তারক্ষী।
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব ড . মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ ও প্রকল্প পরিচালক শবনম মোস্তারীসহ কর্মকর্তারা।