প্রকাশ: ৪ অগাস্ট, ২০২৫ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
1.jpeg) 
            
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই–আগস্টে নিহত অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় শনাক্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সোমবার কোর্ট লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। কিন্তু আদেশের কপি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পৌছাতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এতে আগামী বুধবার লাশ উত্তোলনের কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার লাশ উত্তোলনের বিষয়টি জানান তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা। কিন্তু পরে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে জানানো হয়, কোর্ট থেকে আদেশের কপি পেতে দেরি হওয়ায় সোমবার লাশ উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। তবে কাল মঙ্গলবার ছুটির দিন হওয়ায়। বুধবার লাশ উত্তোলনের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) জসিম উদ্দিন খান বলেন, লাশ উত্তোলনের জন্য সিআইডির সব ধরণের প্রস্তুতি ছিল। শেষ মূহুর্তে আদেশ পেতে দেরি হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। আগামী বুধবার লাশ উত্তোলনের শুরু হবে।
এডিসি জুয়েল রানা বলেন, রায়েরবাজার গণকবরে জুলাই ও আগস্ট মাসে যেসব অজ্ঞাতনামা লাশ দাফন করা হয়। সেসব লাশ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে উত্তোলন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে পরিচয় শনাক্ত এবং মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায়। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সিআইডির ফরেনসিক টিম এবং সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন ও ডিএনএ প্রোফাইল সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে, গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রায়েরবাজার কবরস্থানে গণকবর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, এখানে ১০০ জনের ওপরে দাফন করা হয়েছে। তাদের অনেককে কিন্তু শনাক্ত করা যায়নি। এগুলো চিন্তাভাবনায় আছে। খুব তাড়াতাড়ি এদের শনাক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে। এতদিন তাদের আত্মীয়-স্বজন অনেকেই কবর থেকে ওঠানো হোক-এটাতে রাজি হননি। এখন তারা রাজি হয়েছেন। যদি তারা সবাই রাজি হয়ে যান, তাহলে তাদের মরদেহগুলো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে। আর কেউ যদি এখান থেকে মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে চায় সেটাও করা সুযোগ দেওয়া হবে।