প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান নগণ্য হলেও দেশীয় পর্যায়ে নির্গমন হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘পাথওয়েস টু ইমিশন রিডাকশন ইন রাইস এন্ড লাইভস্টক সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক মিটিগেশন মার্কেটপ্লেস অ্যান্ড ওয়ার্কশপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ধান ও প্রাণিসম্পদ খাত আমাদের খাদ্য ও জীবিকার মূল ভিত্তি। এ দুটি খাত শুধু খাদ্য সরবরাহ নয়, বরং মানুষের জীবিকা ও অর্থনীতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। তিনি বলেন, সুষম খাদ্য ব্যবহার করলে রুমিন্যান্ট (জাবর কাটা) প্রাণীর হজম প্রক্রিয়াজনিত মিথেন নির্গমন উল্লেখযোগ্য হারে কমানো সম্ভব।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাণিখাত থেকে নির্গত গ্যাসের প্রধান উৎস দুটি-রুমিন্যান্ট (জাবর কাটা) প্রাণীদের হজম প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন মিথেন এবং প্রাণীর মল ব্যবস্থাপনায় উৎপন্ন মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইড। গবাদিপশুর মধ্যে গরু সবচেয়ে বেশি নির্গমনের জন্য দায়ী, এরপর রয়েছে মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। বিশ্বজুড়ে মানবসৃষ্ট মোট গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রায় ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ এ খাত থেকে আসে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) গরুর মিথেন নির্গমন পরিমাপ এবং তা হ্রাসে বিভিন্ন গবেষণা পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি গবাদিপশুর নির্গমণ নির্ধারণে উন্নত মডেল ও পদ্ধতি ব্যবহার করছে। উন্নতমানের খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও খাদ্যের গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে কীভাবে নির্গমন হ্রাস করা যায়, তা অনুসন্ধান করছে বিএলআরআই।
উপদেষ্টা আরো বলেন, অতীতে উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের পশু পালনের ফলে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন সবুজ খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি আধুনিক জাতের ধান চাষে অতিরিক্ত সার, কীটনাশক ও আগাছানাশক ব্যবহারের কারণে পশুখাদ্যের সংকট আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম গবেষণা সেন্টার (সিমিট) এবং কনসালটেটিভ গ্রুপ ফন ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকাল রিসার্চের (সিজিআইএআর) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালরাল স্পেশালিস্ট Son Than Vo, কী নোট উপস্থাপন করেন সিমিটের সিনিয়র এগ্রিকালরাল ইকোনোমিস্ট টি এস আমজাহ বাবু, গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের ডিভিশনাল ডিরেক্টর Jean Pesme.