প্রকাশ: ১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণ হোক, দলীয় কাঠামোর প্রতিটি স্তরে নারীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হোক।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ চাই যেখানে নারী শুধু ভোটার নন, আন্দোলনের অগ্রসৈনিক নন বরং সংসদীয় নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রীয় শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে। নারীশক্তির জাগরণই একটি নারী নির্যাতনমুক্ত সমাজ গড়তে পারে।
আজ শুক্রবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম আয়োজিত জাতীয় রাজনীতিতে নারীর অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্বের দাবিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াসহ সারা বিশ্বে নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রায় ৬৫ শতাংশ মেয়েরা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে নেতৃত্বে এসেছে। ২০২৫ সালে এসে এই অগ্রগামী যাত্রাকে ধর্ম বা পিতৃতন্ত্রের বেড়ি পরিয়ে পেছন দিকে টেনে নিয়ে যাবার চেষ্টা অযৌক্তিক ও অন্যায্য।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা সাধারণভাবে ধর্মপ্রাণ, আবার একই সঙ্গে সকল পেশায় সুযোগ পেলেই তারা একইরকম পারদর্শিতার প্রমাণ রাখেন। ধর্ম কখনোই নারীর প্রতি বৈষম্যকে সমর্থন করে না, তাই ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা ব্যবহার করে নারীকে পশ্চাৎপদ রাখার চেষ্টাও আজকের দিনে দুঃখজনক। বাংলাদেশের নারী-পুরুষ সমানতালে যেমন অর্থনীতির চাকাকে এগিয়ে নিচ্ছেন, নেতৃত্বের অঙ্গনেও সুযোগ পেলে নারীরা তাদের যোগ্যতা ও শ্রেষ্ঠত্ব একইভাবে প্রমাণ করবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হতে হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন প্রতিটি ধাপে নারীদের অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা এবং অর্থনৈতিকভাবে নির্বাচনি ব্যয় বহন করা। তাহলে নির্বাচনে অনেক মেয়েরা অংশ নিতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি রাশেদা কে চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, শ্যামা ওবায়েদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, এবি পার্টি, দলিত সংগঠন, নারী আন্দোলন, নাগরিক সমাজ, শ্রমজীবী নারী নেটওয়ার্ক, বিভিন্ন পেশাজীবী, সংস্কৃতি কর্মী, শিক্ষার্থী নারীদের সম্মিলিত প্লাটফর্মের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।