ঢাকা, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩২, ১০ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

গোলাগুলিতেই নয়ন বন্ড নিহত, দাবি এসপির


প্রকাশ: ২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


গোলাগুলিতেই নয়ন বন্ড নিহত, দাবি এসপির

দেশব্যাপী আলোচিত রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড (২৫) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় এসপি মারুফ হোসেন দাবি করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, রিফাত হত্যা মামলার পলাতক আসামিরা সদর উপজেলার পুরাকাটা এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। এরপর আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টায় বরগুনার পাথরঘাটা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি এম আশরাফ উল্যাহর নেতৃত্বে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পূর্ব বুড়িরচর গ্রামের পুরাকাটা ফেরিঘাটের একটু দূরে চায়না প্রজেক্টের সড়কে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন আসামি পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন বন্ড নিহত হয়।

এসপি মারুফ হোসেন আরো দাবি করেন, গোলাগুলির একপর্যায়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, এসআই মো. হাবিবুর রহমান, এসআই মো. মনিরুজ্জামান ও কনস্টেবল মো. হাবিবুর রহমান আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের বরগুনা পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান ও এসআই হাবিবুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের বাধা দিয়েও স্বামীকে রক্ষা করতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

রিফাত হত্যার পরদিন ২৭ জুন ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন রিফাতের বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ। আসামিরা হলো- সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড) (২৫), মো. রিফাত ফরাজী (২৩), মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)। বাকি পাঁচ থেকে ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।


   আরও সংবাদ