ঢাকা, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩২, ১০ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

মশা নিধনে স্থায়ী পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট


প্রকাশ: ২০ অগাস্ট, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


মশা নিধনে স্থায়ী পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার : সারা বছর মশা নিধনে সরকারের স্থায়ী পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মশা নিধনে চলমান অভিযানে কোন ওয়ার্ডে কতজন কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা কখন যাচ্ছেন এবং কি কাজ করছেন তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

এছাড়া হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের পরিসংখ্যান জানাতে বলা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি সোহরাওয়ারদীর বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। 

রাষ্ট্রপক্ষ ও সিটি করপোরেশনের আইনজীবকে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। পরে আগামী সোমবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। 

আজ শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মশা নিধনে বিভিন্ন সচেতনামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জনবল নিয়োগে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নতুন ঔষধ এনে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আইনজীবী বলেন, ১১ আগস্ট থেকে নতুন একটি ঔষধ ছিটানো শুরু হয়েছে। আজ থেকে আরও একটি ঔষধ ম্যালাথিওন ছিটানো শুরু হবে। 

এসময় আদালত বলেন, নতুন ঔষধ দিচ্ছেন তাতে কি মশা মরে? না দৌড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। জনবল কি নিয়োগ হয়েছে?

উত্তর সিটি করপোরেশনের আইনজীবী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সারাদেশে ৬ শতাংশ রোগী কমেছে। 

আদালত বলেন, সারাদেশে তো ঔষধ দেওয়া হচ্ছে না। কমছে সেটা পরিবেশের জন্য। ঔষধে কাজ হচ্ছে কি না সেটা আদালতে খোজ নিলেই বলা যাবে। আমরা দেখবো রোগী কমছে কি না। 

এসময় উত্তর সিটির আইনজীবী বলেন, রোগী কমছে। তার মানে ঔষধে কাজ হচ্ছে। আর কর্মীরা কাজে ফাকি দিচ্ছে কি না সেটা তদারকির জন্য ট্রাকিং সিম দেওয়া হয়েছে তাদেরকে। 

উত্তর সিটির আইনজীবী বলেন, এত ব্যাপক ভিত্তিক তো আগে কখনো হয়নি। এবারই হলো। 

আদালত বলেন, কেন হলো, এটা তদন্ত করা দরকার। 

উত্তর সিটির আইনজীবী বলেন, ৪০ হাজার লিটার ঔষধ এসেছে। আরও ৪০ হাজার লিটার আসবে। ৫৪টি ওয়ার্ডকে ৫টি জোনে ভাগ করে মনিটর করা হচ্ছে। 

আদালত বলেন, কলকাতাসহ অন্যান্য শহরে সারাবছর কাজ চলে। আপনারা সারাবছরের জন্য কি পরিকল্পনা নিবেন সেটা জানান।


   আরও সংবাদ