প্রকাশ: ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
 
            
স্টাফ রিপোর্টার : আম বিক্রির মৌসুম শুরু না হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে তা বাজারে বিক্রি করেছিল। বাইরে থেকে তাকিয়ে লোভাতুর রঙয়ের আম দেখে যে কোনো ক্রেতায় কিনতে চাইবেন। কিন্তু আমগুলো আসলে অপরিপক্ক। রাসায়নিকে কাচা আমরা পাকানো হয়েছে।
আজ রাজধানীর বাদামতলীতে রাসায়নিক পাকানো আম বিক্রি ও মেয়াদোত্তীর্ণ পচাঁ খেজুর পূর্ণরায় প্যাকেটজাত করে বিক্রির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
রোববার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা অভিযানে বাদামতলীর ১২টি আড়ত থেকে মোট ৪০ টন রাসায়নিকে পাকানো আম ও মেয়াদোত্তীর্ণ ৪ টন খেজুর জব্দ এবং ৪১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি তিন জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং চারটি আড়ত সিলগালা করার নির্দেশও দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

র্যাব-১০ এর সহযোগিতায় অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
তিনি বলেন, যে আমগুলো বিক্রি করা হচ্ছিল সেগুলো বাজারে আসতে আরো ১০ থেকে ১৫ অপেক্ষা করতে হতো। কিন্ত এটাই যেন অসাদু ব্যবসায়ীদের জন্য বড়ই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় অপরিপক্ক আম ক্যামিকেলে পাকিয়ে বিক্রি করছে। বাহিরে হলুদ টসটসে কিন্তু ভিতরে একদম অপরিপক্ক এসব রাসায়নিকে পাকানো আম। যা খেলে মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করবে।
সারওয়ার আলম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় বাদামতলীতে পরিচালিত এ অভিযানে ১২টি আড়ত থেকে ৪০ টন আম এবং ৪ টন খেজুর জব্দ করা হয়। পাশাপাশি দায় স্বীকার করায়, ৪১ লাখ টাকা জরিমানা এবং তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৪ আড়ত সিলগালার নির্দেশ দেয় আদালত।