ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

৬০ দিনের নোটিশ মেয়াদের মজুরি পাচ্ছে পাটকল শ্রমিকরা


প্রকাশ: ২১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


৬০ দিনের নোটিশ মেয়াদের মজুরি পাচ্ছে পাটকল শ্রমিকরা

স্টাফ রিপোর্টার : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী'র ঘোষণা অনুযায়ী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) এর কর্তৃক পরিচালিত বন্ধ ঘোষিত পাটকলসমূহের শ্রমিকদের জুন মাসের এক সপ্তাহের বকেয়া মজুরি ও ৬০ দিনের নোটিশ মেয়াদের মজুরি এবংঅপরিশোধিত নববর্ষ ভাতা পরিশোধের নিমিত্ত ৮০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। 

অর্থমন্ত্রণালয় এ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করেন। বরাদ্দকৃত এ অর্থ শ্রমিকদের নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে দেওয়া হবে।

২০২০-২১ অর্থবছরের অর্থ বিভাগের বাজেটে 'পরিচালন ঋণ' খাত হতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) এর অনুকুলে  'পরিচালন ঋণ'  হিসেবে নিমিত্ত ৮০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বরাদ্দ প্রদান করা হল। বিজেএমসির শ্রমিকদের প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে এই টাকা পরিশোষ করতে হবে।

এই টাকা কেবল শ্রমিকদের জুন মাসের এক সপ্তাহের বকেয়া মজুরি বাবদ ১০ কোটি ৭৯ লাখ ও ৬০ দিনের নোটিশ মেয়াদের মজুরি বাবদ বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে। 

তবে, ৬০ দিনের নোটিশ মেয়াদের মজুরি বাবদ বরাদ্দকৃত টাকা শ্রমিকদের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে বরাদ্দ করতে হবে । উদ্বৃত্ত অর্থ (যদি থাকে) বন্ধঘোষিত মিলসমূহের শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি ও পিএফ এর সাথে সমন্বয়যোগ্য হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০ জুলাই তারিখে স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ২০ বছরে (৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ) ৫ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। 

চিঠিতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, বরাদ্দ দেওয়া অর্থ বর্ণিত খাত ব্যতিত অন্য কোন খাতে ব্যয় করা যাবে না। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোন অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। 

উল্লেখ্য, ‌বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক,এমপি গত ৩ জুলাই (শুক্রবার) এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন ‘মজুরি কমিশন-২০১৫’ অনুযায়ী পাটকল শ্রমিকদের জুন মাসের মজুরি ও পাটকল শ্রমীকগণ নোটিশ মেয়াদের অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের ৬০ দিনের মজুরিও জুলাই মাসে যথারীতি পরিশোধ করা হবে। পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ অবশিষ্ট সকল পাওনার ৫০% স্ব স্ব ব্যাংক হিসাবে এবং বাকী ৫০% স্ব স্ব নামে সঞ্চয়পত্র আকারে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। সব ক্ষেত্রেই মজুরি কমিশন-২০১৫ এর ভিত্তিতেই পাওনা হিসাব করা হবে। 

২০১৪ সাল হতে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের (৮,৯৫৪ জন) প্রাপ্য সকল বকেয়া, বর্তমানে কর্মরত শ্রমিকদের (২৪,৮৮৬ জন) প্রাপ্য বকেয়া মজুরি, শ্রমিকদের পিএফ জমা, গ্র্যাচুইটি এবং সে সাথে গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ ২৭% হারে অবসায়ন সুবিধা একসাথে শতভাগ পরিশোধ করা হবে। এজন্য সরকারি বাজেট হতে প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে। 

অবসায়নের পর মিলগুলি সরকারি নিয়ন্ত্রণে পিপিপি, যৌথ উদ্যোগ, জি টু জি, লীজ মডেলে পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হবে। নতুন মডেলে পুন:চালুকৃত মিলে অবসায়নকৃত বর্তমান শ্রমিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবে। একই সাথে এসব মিলে নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে। সকল শ্রমীককে অবশ্যই পুনর্বাসন করা হবে।


   আরও সংবাদ