ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

বন্যা পরিস্থিতিতে প্রকৌশলীদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর


প্রকাশ: ২২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


বন্যা পরিস্থিতিতে প্রকৌশলীদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ের সকল প্রকৌশলীদের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। 

আজ বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্ল্যাটফরমে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ এবং বন্যা মোকাবেলায় করণীয় সংক্রান্ত এক জরুরী সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, প্রধান প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত সকলকে  নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ সব জায়গায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি, নজরদারি এবং জিও ব্যাগ নিয়ে প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে। বাঁধ যাতে না ভাঙ্গে সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা রাখতে হবে। অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক খবর রাখতে হবে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা জানিয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন ক্তিশালী। মাঠ পর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা আগামীতে সকল জেলাকেই স্থায়ী বাঁধপ্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসবো। ইতোমধ্যে নেয়া সব নতুন প্রকল্পই স্থায়ী বাঁধের আদলে ডিজাইন করা। মানবতার সেবায় আমরা সবাই কর্মীর মতই কাজ করে যাবো।

নিজেদের সুরক্ষায় সতর্ক করে উপমন্ত্রী শামীম আরো বলেন, নিজেকে সুরক্ষিত রেখে কাজ করবেন এবং কেউ করোনাক্রান্ত হলে মন্ত্রণালয়কে জানাবেন। বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে না বরং আগেই আমাদের সকল প্রস্তুতি রাখতে হবে। আসন্ন ঈদের ছুটিতেও আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে থাকবে। 

সভায় অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রোকনুদ্দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাবীবুর রহমান, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা, বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সাইফুল ইসলাম(আইডব্লিউএফএম), বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর (ডব্লিউআরই) ড. মোস্তফা আলী,জেলা পর্যায়ের প্রকৌশলীসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতের আবহাওয়া পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে CEGIS এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা জানান, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও তা '৮৮ মত হবে না। বন্যা দীর্ঘায়িত হতে পারে তাই সব প্রস্তুতি রাখা সমীচীন হবে।

এদিকে প্রফেসর সাইফুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মোস্তফা বাঁধ মেরামতের চেয়ে কেন বাঁধ ভাঙ্গে তা পর্যালোচনার জন্য বলেন এবং আবহাওয়া পূর্বাভাসকে আরো শক্তিশালী ও সুদূরপ্রসারী করার পরামর্শ দেন।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আজকে সকাল পর্যন্ত বিপদসীমার উপরে নদীর সংখ্যা ১৬। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে যমুনা এবং বুধবারের মধ্যে পদ্মার পানি সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে তা অব্যাহতভাবে হ্রাস পেতে থাকবে।


   আরও সংবাদ