ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩২, ৯ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে থাকছে র‌্যাবের মোবাইল কোর্ট


প্রকাশ: ১২ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে থাকছে র‌্যাবের মোবাইল কোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার : পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে এবার মাঠে থাকবে র‌্যাবের মোবাইল কোর্ট। এবারই প্রথম এমন উদ্যোগ নিচ্ছে র‌্যাব। সেই সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াডসহ র‌্যাবের পক্ষ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তায়।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় রমনা বটমুলে আয়োজিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে র‌্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্ণেল জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো র‌্যাবের পক্ষ থেকেও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি। সকল গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাজধানীতে রমনা বটমূল, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নববর্ষের বড় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠান  হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকানোর জন্য র‌্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নববর্ষের বড় বড় ভেন্যুতে আমাদের মোবাইল পেট্রোল, মোটর সাইকেল পেট্রোল, অবসারভেশন পোস্ট থাকবে। রাজধানীতে যতো ভেন্যু আছে সবগুলোকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এবং শনিবার থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে মনিটরিং করা হবে যা চলবে নববর্ষের রাত ১০টা পর্যন্ত। 

কর্ণেল জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গায় নববর্ষের বিশেষ অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে র‌্যাব ও ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সাদা পোশাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে উপস্থিত থাকবে। এবং বড় ভেন্যুগুলোর সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য কন্ট্রোলরুম বসানো হয়েছে। বড় ভেন্যুতে মোবাইল কোর্টসহ মেডিকেল টিম থাকবে যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে নববর্ষ উদযাপন করতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো ঝুঁকির বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য নেই। ঢাকায় র‌্যাবের যে পাঁচটি ব্যাটালিয়ন আছে তাদের বেশিরভাগ সদস্যই নিরাপত্তার কাজে থাকবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকবে সবাই উৎসব পালন করবে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এরপরেও কেউ কেউ বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বাচ্চাদের জন্য খাবার বা পানীয় কিছু আনলে সেটি ভেবে দেখা হবে।


   আরও সংবাদ