প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য দরকার। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ-সংঘাত চলছে, এ সুযোগে তৃতীয় পক্ষ লাভবান হচ্ছে।
মুসলমানদের মধ্যে সমস্যা ও সংঘাত নিজেরাই দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। এ জন্য কোনো রক্তপাতের প্রয়োজন নেই।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকা সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করে বলেন, মুসলমানদের নিজেদের মধ্যে সংঘাত বন্ধে ওআইসি’কে (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন) ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের মধ্যে সংঘাত বন্ধে ওআইসির এগিয়ে আসা উচিত।
এসময় বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করেন তিনি।
জোর করে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা প্রায় এক লাখ সন্তান জন্ম দিয়েছে বলে জানান তিনি।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণই তার লক্ষ্য বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ রেখে বাংলাদেশের জিডিপি ৮ দশমিক ১ শতাংশ অর্জনের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ইরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বাংলা ভাষায় অনেক ফারসি শব্দ থাকার কথা। এসময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরান-বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
ইরানের ওপর আমেরিকার অবরোধের পর দেশটির বর্তমান অবস্থার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ইরান সৌদি আরবসহ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। আমরা ঐক্য চাই। কোনো বৈরিতা চাই না।
মুসলিম দেশগুলোকে অস্ত্রের পেছনে অর্থ খরচ না করে জনকল্যাণে ব্যয় করার আহ্বান জানিয়ে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অস্ত্রের জন্য টাকা খরচ করতে চাই না। এ টাকা দিয়ে জনকল্যাণ করতে চাই।
ওআইসিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করে ইরানি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব হয়েছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি দৃষ্টান্তমূলক অর্জন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ইরানের উন্নয়নের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ইরান সেমিনার করবে বলেও জানান তিনি। ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন জাভেদ জারিফ।
ইরানি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান।
