প্রকাশ: ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
চৌগাছা যশোর থেকে ফখরুল ইসলাম : চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত থেকে যাচ্ছে যশোরের চৌগাছার পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এ পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চৌগাছায় পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছেন ১৭ হাজার ২৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৩৬১ ও মহিলা ভোটার রয়েছেন ৮ হাজার ৮৮৭ জন। চৌগাছা পৌরসভায় মোট ৯টি ওয়ার্ডে এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৪ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১১ জন।
মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র নুর উদ্দীন আল মামুন হিমেল, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আব্দুল হালিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জগ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মাস্টার কামাল আহমেদ ও পাখা মার্কায় লড়ছেন মুফতি শিহাব উদ্দীন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ২৬ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এরপর ২৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হয়। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হয় প্রচার-প্রচারণা। প্রশাসনের কঠোর ভূমিকার কারণেই সংঘাত ও সংঘর্ষ এড়িয়ে ভোট যুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন প্রার্থীরা।
বিভিন্ন প্রতিশ্রম্নতি নিয়ে প্রার্থীরা দিন-রাত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দুপুর ২টা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে প্রার্থীদের বিরতিহীন প্রচার মাইক। বিভিন্ন মেয়র ও কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত প্রার্থীদের ঝুলন্ত পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর এলাকা।
পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবে এমন যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করতে চান সাধারণ ভোটাররা। যদিও ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের খবরে তারা কিছুটা স্বস্তিতে আছেন।
সাধারণ ভোটাররা বলেন, নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ চেয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুর উদ্দীন আল-মামুন হিমেল বলেন, ভোটাররা এখন অনেক সচেতন। উন্নয়নের জন্য ক্ষমতার চেইন দরকার। ভোটাররা সেই বিবেচনায় দলমত-নির্বিশেষে উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দেবেন বলে তিনি আশা করছেন।
মুঠোফোনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, তারা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলে ধানের শীষের জয় হবেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী মাস্টার কামাল আহমেদ দাবি করেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি নিশ্চিত বিজয়ী হবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন আহমেদ বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে এবং ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।