প্রকাশ: ১২ জুন, ২০২১ ১২:০৮ অপরাহ্ন
যশোর প্রতিনিধি :আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও যশোর জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনায় চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বাদ আছর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার চৌগাছা কওমি মাদ্রাসা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল করিম, রুবেল হুসাইন, সোহেল দেওয়ান, আরিফ হোসেন, হযরত, সাইফুলইসলাম, বিল্লাল হোসেন, আকাশ, ইয়াসিন, তানভীর, শিশির, বিদ্যুৎ, জিসান, রিয়াজ, তালিব, জাহিদ, মাসুদ, তপু, রিয়াজুল, আলামিন, মুক্তার, রিংকন প্রমুখ অংশ নেন।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব ও চৌগাছা কওমি মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সাইফুল ইসলাম। মাহফিলে দেশ ও জাতির কল্যাণে, গণতন্ত্রের উন্নয়নে ও আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় অসামান্য অবদান রাখার জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১১ জুন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। সেনা সমর্থিত ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার করে প্রথমে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়।
এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটের অধিকার সুনিশ্চিত করতে সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বন্ধুর বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তাঁর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়।
এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থ বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।