প্রকাশ: ২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:১২ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমবায় একটি ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ আর্থসামাজিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
আজ শনিবার চট্টগ্রামের শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘একতাই বল’ এই মূলমন্ত্র আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সমবায় তথা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। সেই সাথে পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা ও ত্যাগের মানসিকতা না থাকলে সমবায় অর্থহীন। বিশ্বাস ছাড়া সহযোগিতা হয় না, আস্থা ছাড়া সংগঠন টিকে না, আর ত্যাগ ছাড়া সমবায়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য বিকশিত হয় না। যখন একজন সদস্য নিজের সামান্য স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করেন, তখনই সমবায়ের প্রকৃত শক্তি প্রকাশ পায়।
সমবায় সংগঠনের লাভ-ক্ষতির বিষয়ের চেয়ে পারস্পরিক সহমর্মিতা, ন্যায়নিষ্ঠা ও সম্মিলিত অগ্রগতির আকাঙ্ক্ষাই মূল প্রতিপাদ্য। সমবায়ের এই চেতনা যদি আমরা আমাদের কর্মে, চিন্তায় ও আচরণে ধারণ করতে পারি, তবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি আমরা সামাজিক ন্যায় ও মর্যাদার এক নতুন অধ্যায় রচনা করতে পারবো।
উপদেষ্টা আরো বলেন, জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই ৩০ বছরের কম বয়সী। ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই তরুণরাই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তরুণরা তাঁদের আত্মপ্রত্যয় ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা দিয়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তরুণদের হতাশা ও বেকারত্বের অভিশাপ এই আন্দোলনে প্রতিফলিত হয়েছে।
তরুণদের সম্পৃক্ত করে সমবায়ের মাধ্যমে এই দেশকে এগিয়ে নিতে এখনই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। নারী উদ্যোক্তা, কৃষক ও কারিগরদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা গেলে স্থানীয় অর্থনীতি যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি জাতীয় উৎপাদনও বাড়বে। এই তরুণ শক্তিকেই এখন আমাদের সমবায় আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় এর যুগ্মনিবন্ধক দুলাল মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রামের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন বক্তৃতা করেন।