ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩২, ৯ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সমকামিতায় বাধ্য করায় বন্ধুকে খুন করে জহির


প্রকাশ: ১৯ অগাস্ট, ২০২৫ ১১:০৪ পূর্বাহ্ন


সমকামিতায় বাধ্য করায় বন্ধুকে খুন করে জহির

নিজস্ব প্রতিবেদক : সমকামিতায় বাধ্য করায় ক্ষুব্ধ হয়ে রেদুয়ানকে (২৮) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারই বন্ধু জহুরুল মুন্সী ওরফে সুলতান জহির (২৫)। গত ১৩আগস্ট বিকেলে জহিরকে নিজ বাড়িতে সমকামিতার জন্য বাধ্য করে রেদুয়ান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জহির তাকে হত্যা করে মরদেহ বিলে ফেলে দেয়। আসামি জহিরকে রোববার গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাাব।

এ বিষয়ে সোমবার র্যা ব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র্যা ব-১০। এতে উপস্থিতি ছিলেন র্যা ব–১০এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড মিডিয়া) তাপস কর্মকার।

সেখানে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গার চারালদিয়া এলাকার রেদুয়ান ও জহির ভালো বন্ধু ছিলেন। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে জহির এই সম্পর্ক থেকে রেব হতে চাই। কিন্তু রেদুয়ান তাকে এতে বাধ্য করায় জহির তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন রেদুয়ান। ঘটনার তিনদিন পর ১৬ আগস্ট রাতে মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে গ্রেপ্তার জহির জিআই তার দিয়ে বালুর বস্তা বেঁধে আবারও বিলে ফেলে দেয় লাশ। পরের দিন ১৭ আগস্ট ভাঙ্গার চারালদিয়া বিলে তার মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে তার (রেদুয়ান) পরিবারকে খবর দিলে তারা গিয়ে লাশ গ্রহণ করেন। ওই ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

র্যা ব-১০ এর অধিনায়ক বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না সে বিষয়ে গ্রেপ্তার জহিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া নিহত রেদুয়ান পড়ালেখা শেষ করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আর আসামি জহির বেকার। আসামির কাছ থেকে নিহতের রক্তমাখা জামাকাপড়, মানিব্যাগ, স্যান্ডেল, এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং মাদারীপুরের শিবচর থেকে নিহত রেদুয়ানের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন সমকালকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে র্যা ব–১০ থানায় হস্তান্তর করেছে। তাকে আজ মঙ্গলবার আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হবে।


   আরও সংবাদ