প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানীর সিন্ডিকেটের সদস্য নাফিসা কামালের অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। নাফিসা কামাল সাবেক অর্থমন্ত্রী কামালের মেয়ে।
আজ সোমবার প্রতারণাপূর্বক প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে ঢাকার গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করেছে সিআইডি। পরে সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিআইডির অনুসন্ধানে নাফিসা কামাল ও তার জনশক্তি রপ্তানী প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল এবং সহযোগী সিন্ডিকেট সদস্য ইরভিং এন্টারপ্রাইজের মালিক হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, আমান এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক জসিম উদ্দিন আহমেদ, আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মালিক আকতার হোসাইন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস (প্রা.) লিমিটেডের মালিক শিউলী বেগম, মৃধা ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের মালিক কাউসার মৃধা ও রাব্বি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোহাম্মদ বশিররা সংঘবদ্ধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে বিগত ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৩ হাজার ১১১ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠায়। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার বিপরীতে তারা জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। এ ছাড়া সরকারিভাবে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ পরীক্ষাবাবদ, মেডিকেল ফি ও পোশাক ফি’র বাইরে প্রতিজনের কাছ থেকে আরও ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করেন। সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামালসহ অভিযুক্তরা নির্ধারিত ফি’র চেয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা করে মোট ৩৩ কোটি ৪৪ রাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মামলাটি তদন্ত করছে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। অভিযুক্তদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের স্বার্থে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।