প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৫২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী বলেছেন, পুলিশের সাফল্যের প্রধান নিয়ামক হল জন সম্পৃক্ততা। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় নাগরিকদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার গুলশান থানায় আইন শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটি (এলওসিসি)কর্তৃক আয়োজিত এক বিশেষ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে স্থানীয় জনসাধারণের উদ্যোগ ও আর্থিক সহায়তায় পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়। এর ফলে অপরাধ প্রতিরোধের পাশাপাশি অপরাধীদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন,
এলওসিসি সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত জানান, গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে আস্থার সেতুবন্ধন তৈরির উদ্দেশে এলওসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে ২৫টি সিসি ক্যামেরা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সমগ্র এলাকায় নিরাপত্তা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
সংগঠনের মহাসচিব শামসুল আরেফিন চৌধুরী কারিগরি দিক উপস্থাপন করে জানান, জনগণের অর্থায়নে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ডিএমপি’র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। সহ-সভাপতি শওকত হোসেন দিলন বলেন, এলাকাজুড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে স্ট্রিট ক্রাইম নেই বললেই চলে। ১৩ বছরের যাত্রায় এলওসিসি প্রমাণ করেছে, নাগরিক–পুলিশ সহযোগিতার মাধ্যমে কীভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করা সম্ভব। গুলশান-বারিধারা অঞ্চলের এই সাফল্য রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও অনুকরণীয় মডেল হয়ে উঠতে পারে মর্মে অভিমত প্রকাশ করেন উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ।
ডিএমপি কমিশনার গুলশান থানা ভবনে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
বিশেষ এই সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মোঃ সরওয়ার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) জিললুর রহমানসহ ডিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।