প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি মামলার ভয় দেখিয়ে বাগেরহাটের ঠিকাদার এস আর ট্রেডার্সের মালিক শহিদুল ইসলামের কাছে দশ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)বাগেরহাট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক মো. আবুল হাশেম। গতকাল সোমবার আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে দুদকে জমা দেওয়া এক অভিযোগে ওই কথা বলেছেন শহিদুল ইসলাম।
তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে- এই ভয় দেখিয়ে মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার কথা বলে বিনিময়ে দশ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে বাগেরহাটের সাবেক কমিশনার আনিস বিশ্বাসের সহায়তা নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা।
আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, দশ লাখ টাকার মধ্যে সোমবার পাঁচ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। টাতকার জন্য তিনি বার বার শহিদুল ইসলামকে ফোন করছিলেন। শহিদুল ইসলাম আবুল হাশেমের সঠিক পরিচয় জানতে ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসেন। এরপর তিনি পুরো ঘটনা উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি সাংবাদিকদের সামনে আবুল হাশেমকে ফোন করে লাউড স্পিকারে কথা বললে তিনি গতকালের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার তার কাছে পৌঁছে দিতে বলেন। বাগেরহাটে তিনি টাকার জন্য অপেক্ষা করছেন।
গতকাল দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সাংবাদিদের বলেন, আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। তদন্তে তার দোষ প্রমাণিত হলে তারে বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কোন ধরণের ছাড় দেওয়া হবে না।
দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ আগষ্ট থেকে তাকে দুর্নীতি মামলার ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক তৈরি করা হয়। দুদক কর্মকর্তা আবুল হাশেম একাধিকবার শহিদুল ইসলামকে ডেকে মামলার ভয় দেখিয়ে বিষয়টি মেটানোর পরামর্শ দেন। ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম এই প্রস্তাবে রাজি হননি।