প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতারণার অভিযোগে ইউনিক ইস্টার্ন লিমিটেডের মালিক মুহা. নূর আলীসহ ১৪ রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)।
গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ৪০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে মামলা করে সিআইডি।
আজ সোমবার সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) জসিম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানিয়েছেন।
অন্যান্য আসামিরা হলেন—বিএম ট্রাভেলস লি.এর স্বত্ত্বাধিকারী সফিকুল ইসলাম বাসেক, নাতাসা ওভারসিসের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, বিডি গ্লোবাল বিজনেসের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সোলায়মান, ঈশ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী তাসলিমা আক্তার, এম.ই.এফ গ্লোবাল বাংলাদেশের স্বত্ত্বাধিকারী মকবুল হোসাইন প্রকাশ মকুল, কাশিপুর ওভারসিসের স্বত্ত্বাধিকারী রফিকুল হোসাইন, দরবার গ্লোবাল ওভারসিসের স্বত্ত্বাধিকারী মাজবুব মিয়া, আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্ত্বাধিকারী রুহুল আমিন, ধামশি কর্পোরেশনের স্বত্ত্বাধিকারী নোমান চৈধুরী, সেলিব্রেটি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল হাই, ত্রিবেণী ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী মুহা. সাইফুল নূর, হাইদরি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ গোলাম সারোয়ার এবং রমনা এয়ার ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি সিন্ডিকেটের অন্যতম নূর আলীসহ সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭০ টাকা প্রতারণার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা সুষ্পষ্টভাবে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি কর্মীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতেন অভিযুক্তরা। অভিযুক্তরা ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২ বছরে ৩ হাজার ৭৮৭ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠায়। সরকারি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও নূর আলীসহ সংশ্লিষ্টরা জনপ্রতি অতিরিক্ত ১ লাখ ৭হাজার ৫১০ টাকা আদায় করেছেন। এ ছাড়া ভুক্তভোগীদের পাসপোর্ট খরচ ১০ হাজার, কোভিড-১৯ টেষ্ট ১৭ হাজার, মেডিকেল ফি সাড়ে ছয় হাজার এবং পোশাক সংক্রান্ত ফি তিন হাজার টাকা, মোট সাড়ে ৩৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত বহন করতে হয়েছে।
মামলার এজাহারে সিআইডি উল্লেখ করেছে, আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে আসামিরা নামে–বেনামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি গড়ে তুলেছে। আসামিরা সংঘবদ্ধ ভাবে প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে অপরাধ করেছে। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সিআইডি তৎপর রয়েছে।
এ পর্যন্ত সিআইডি একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সির নামে অর্থ পাচার আইনে মামলা করেছে সিআইডি।