ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

চলন্ত বাসে ‘অজ্ঞান পার্টির’ সদস্য সন্দেহে পাঁচজনকে পুলিশে দিয়েছে যাত্রীরা


প্রকাশ: ৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:২৩ পূর্বাহ্ন


চলন্ত বাসে ‘অজ্ঞান পার্টির’ সদস্য সন্দেহে পাঁচজনকে পুলিশে দিয়েছে যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় চলন্ত বাসে ‘অজ্ঞান পার্টির’ সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে গাজীপুর পরিবহনের একটি বাসের যাত্রীরা। তারা ওই বাসের এক যাত্রীকে অজ্ঞান করে তার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ করে যাত্রীরা।

আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে গাজীপুর পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের রেইনবো ক্রসিং এলাকায় হাতিরঝিল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাসটি উত্তরা থেকে গুলিস্তানের দিকে যাচ্ছিল।

অজ্ঞান হওয়া যাত্রীর নাম আবদুল মান্নান। তিনি উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের এক বাড়ির কেয়ারটেকার। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন ব্যাপারী ছেলে মান্নান।

আটক পাঁচজন হলেন— আবদুর রশিদ, কামাল হোসেন, বেলাল হোসেন, নূর আলম ও উসমান আলী। জনতার গণপিটুনিতে আহত হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওই বাসের যাত্রী ব্যবসায়ী শেখ হামিম সমকালকে বলেন, ভুক্তভোগী মান্নান উত্তরা জসিম উদ্দিন থেকে বাসে উঠেন। ওই সময় একজন হকার তার সঙ্গে আরও ৫/৬ জন বাসে উঠেন। সবাই সিটে বসার পরে হকার স্বাস্থ্যের নির্দেশনা বই বিক্রি শুরু করেন। ভুক্তভোগী বইতে গ্যাস্টিকের ওষুধের দেখে হকারের কাছে ওষুধটা আছে কী না জানতে চাই। পরে হকার একটি আছে বলে তাকে দিয়ে খেতে বলেন। খাওয়া শেষে সে বাস থেকে নেমে পড়েন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পর কন্ট্রাক্টর ভাড়া তোলার সময় মান্নান তার কাছে থাকা সব টাকা বের করে তাকে দিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, আমি (হামিম) বসে ছিলাম তার উল্টাপাশে। ওই অবস্থা দেখে তিনি (কন্ট্রাক্টর) আমার কাছে টাকা দিয়ে দেয়। বাসে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা আছে সন্দেহ করে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে এফডিসি মোড়ে ফ্লাইওভার থেকে নেমে বাসা সাইড করে তল্লাশি করে যাত্রীরা। পরে একজন সবাইকে ধরিয়ে দেয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চেতনাশক পাউডার, সবার কাছ থেকে একাধিক মোবাইল, পেপার ও ছুরি উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ কাছে তাদের দিয়ে দেওয়া হয়।

হাতিরঝিল থানার এসআই রজিব হোসেন বলেন, আবদুল মান্নানকে আচার জাতীয় কিছু খেতে দেওয়া হয়েছিল, এরপরই তার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং অপরাধীদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। তিনি জানান, পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ছিনতাই করা টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


   আরও সংবাদ