প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
 
            
নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিয়ম, অপচর্চা ও দুর্নীতিকে রাষ্ট্রীয় ব্যাধি আখ্যা দিয়ে বুধবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, এসব নেতিবাচক প্রবণতা থেকে মুক্তি পেতে হলে সমাজে ইতিবাচক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি কর্মমুখী ও সম্ভাবনাময় সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। যেখানে মাঠপর্যায়ের ভিডিপি সদস্যরা উদ্যমী ভূমিকা পালন করবে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলার রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত ১০ দিনব্যাপী গ্রামভিত্তিক ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ ২০২৫–২৬ (দ্বিতীয় ধাপ) পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বাহিনীর চলমান প্রশিক্ষণ, প্রশাসনিক ও অপারেশনাল কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।
প্রশিক্ষণরত সদস্য-সদস্যাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মহাপরিচালক সমাজের অসংগতি দূরীকরণে শৃঙ্খলা ও সামাজিক আন্দোলনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং তরুণ ভিডিপি সদস্যদের সমাজ পরিবর্তনের অগ্রদূত হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।
আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, আনসার-ভিডিপির প্রশিক্ষণের মূল ভিত্তি হলো শৃঙ্খলা। সুশৃঙ্খল সমাজেই সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো শনাক্ত ও বিকশিত করা সম্ভব। আনসার বাহিনীর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত তরুণ ভিডিপি সদস্য-সদস্যাদের হাত ধরেই একটি সম্ভাবনাময়, শৃঙ্খলিত ও আদর্শ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব— বাহিনীটি সেই লক্ষ্যেই অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন, সমৃদ্ধশালী ও নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য গণমানুষের মধ্যে শৃঙ্খলার চেতনা ধারণ অপরিহার্য। এই প্রশিক্ষণ সেই চেতনা জাগ্রত করে অংশগ্রহণকারীদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের দূত হিসেবে তৈরি করছে।
‘সামাজিক চুক্তি’ ধারণাটি প্রকৃত সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম প্রভাবক হিসেবে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের মধ্যে সামাজিক চুক্তির ধারণা বিকশিত করতে হবে। এর মাধ্যমেই সমাজে উদ্ভূত অসংগতি সামাজিকভাবে সমাধান করা সম্ভব হবে। এই প্রক্রিয়ায় আনসার-ভিডিপির তৃণমূল পর্যায়ের সদস্যরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি নবচেতনায় উদ্ভাসিত প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই প্রশিক্ষণে অর্জিত শৃঙ্খল ও নৈতিক জীবনাচারের প্রভাব তারা নিজ নিজ সমাজে ছড়িয়ে দেবে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ একটি আদর্শভিত্তিক, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে আরও দৃঢ় অবস্থান লাভ করবে।
মহাপরিচালকের এই সফরে আরও উপস্থিত ছিলেন উপমহাপরিচালক (অপারেশন্স) সাইফুল্লাহ রাসেল, উপমহাপরিচালক (চট্টগ্রাম রেঞ্জ) ড. সাইফুর রহমান, জেলা কমান্ড্যান্ট (চট্টগ্রাম) আবু সোলায়মানসহ বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তারা।