ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

এবছর য‌শো‌রে ২০ হাজার হেক্টর জ‌মি‌তে পা‌টের চাষ হয়েছে


প্রকাশ: ৩০ অগাস্ট, ২০২০ ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন


এবছর য‌শো‌রে ২০ হাজার হেক্টর জ‌মি‌তে পা‌টের চাষ হয়েছে

‌যশোর থেকে খান সাহেব : যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যশোর জেলায় পাটের আবাদ করা হয় ১৮ হাজার ২৬৫ হেক্টর। যা থেকে পাট উৎপাদন হয়েছিল ৪২ হাজার ১০ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাটের আবাদ হয়েছিল ২০ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে, পাট উৎপাদন হয়েছিল ৫০ হাজার ৭৫৩ মেট্রিক টন।

এবং চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে যশোর জেলায় পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৫ হাজার ৪ শত ২৯ হেক্টর জমি। পরে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে। এবছর পাটের ফলন কম হয়েছে।

শার্শা উপজেলার শালকোণা গ্রামের সাহেব আলী জানান, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন।  বাজারে ১৯শ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের লাভ হবে। বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগ্রামের কৃষক আবুল বিশ্বাস জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে।  তিনি বলেন, বাজারে পাটের মণ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮৫০ টাকা থেকে ১৯শ টাকায়।

পাটের পাইকার ব্যবসায়ী শফিয়ার রহমান বলেন, অন্যান্য বছর সরকারি পাটকল কৃষকের কাছ থেকে ১৩ লাখ বেল পাট কিনত। এবার সেই সুযোগ নেই। তারপরও বেসরকারি পাটগুলোতে পাটের চাহিদা রয়েছে। আমরা ভালোমানের পাট ১৯শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা মণ কিনছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে সারাদেশে ৮২ লাখ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত বছর দেশে ৬৮ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়। এরমধ্যে ১৩ লাখ বেল পাট সরকারি পাটকল কেনে। এরমধ্যে যশোরসহ দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের পাটকলগুলো প্রায় ৬০ শতাংশ পাট কিনে গুদামজাত করে থাকে।

যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, যশোরের এবার পাটের ভারো ফলন হয়েছে। প্রতিমণ পাট ১৯শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


   আরও সংবাদ