প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারী, ২০২১ ১৬:৪৫ অপরাহ্ন
চৌগাছা থেকে ফখরুল ইসলাম: যশোরের চৌগাছায় তুলা চাষের আধুনিক প্রযুক্তির উপর মাঠকর্মীদের তিনদিন ব্যাপি প্রশিক্ষন শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে উপজেলার তুলা গবেষনা, প্রশিক্ষন ও বীজবর্ধন ফার্মের হলরুমে এই কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জগদশীপুর তুলা গবেষনা প্রশিক্ষন ও বীজবর্ধন ফার্মের ব্যবস্থাপক কটন এগ্রোনমিষ্ট শেখ আল মামুন। প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. আলহাজ উদ্দিন আহম্মেদ।
প্রশিক্ষন কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, সিডিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আক্তারুজ্জামান, যশোর অঞ্চালের উপ-পরিচালক জাফর আলী, তুলা উন্নয়ন বোর্ড আঞ্চলিক কার্যালয় যশোরের বীজ উৎপাদন বিশেষজ্ঞ কামরুল হাসান, যশোর জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ কুতুব উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগদীশপুর তুলা ফার্মের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এসএম আবেদ আলী, ফোরম্যান কাইয়ুম ভূইয়া, মতলেবুর রহমান, ইমরুল হাসান, শহিদুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন প্রমুখ। প্রশিক্ষনে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার ৪টি জোনের মোট ৩০ জন কটন ইউনিট অফিসার, সহকারী কটন ইউনিট অফিসার ও স্টোরকাম ফিল্ডম্যান অংশ নিয়েছেন। আগামী ২৭ জানুয়ারী প্রশিক্ষন শেষ হবে।
এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, তুলা একটি অর্থকারী ফসল, সেই দিকটি খেয়াল রেখে তুলা চাষ যেন আরও সম্প্রসারিত হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তুলা চাষে ইতোমধ্যে সফলতা এসেছে, তাই আধুনিক এ পদ্ধতি রুট লেবেল পর্যন্ত পৌছে দিতে হবে। তুলা চাষ বেশি হলে আমাদের আমদানি কমবে আর আমদানি কমলে দেশি তৈরী সকল ধরনের পোষাকের দামও কমবে দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে আমরা হাইব্রিড জাতের তুলা উৎপাদনের চেষ্টা করছি। এটি সফল হলে চাষিরা আরও বেশি তুলা চাষে মনোযোগী হয়ে উঠবে বলে আমি মনে করি।
প্রধান অতিথি মাঠকর্মীদের উদ্যোশে আরও বলেন, আমরা সকলেই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। যে জনগনের টাকায় আমাদের বেতন হয় সেই জনগনের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। আপনারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন, তাই কৃষকের সাথে নিবিড় ভাবে মিশে যাবেন। তাহলে দেখবেন যে চাষি তুলা চাষে অমনোযোগী ছিল সেই চাষি তুলা চাষ করছেন এবং অন্যকে চাষ করতে উদ্বুদ্ধ করছেন।